নিজস্ব প্রতিবেদক:
নিখোঁজের ৭ দিন পর জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার শ্যাওলাপাড়া গ্রামের তৃতীয় শ্রেণির স্কুলছাত্র কাফি খন্দকারের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শরিবার (২৬ এপ্রিল) দুপুর দুইটার দিকে ওই গ্রামের একটি পুকুরের পাড় থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরিবারের দাবি শিশুটিকে হত্যা করে তার লাশ পুকুর পাড়ের ঝোপের মধ্যে ফেলে দেওয়া হয়েছে।
নিহত স্কুলছাত্র কাফি ক্ষেতলাল উপজেলার শ্যাওলাপাড়া গ্রামের সঞ্চয় খন্দকারের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, গত ১৮ এপ্রিল বিকেলে বাড়ির পাশে অন্যান্য শিশুদের সাথে খেলা করছিলেন কাফি খন্দকার। সেদিন সন্ধ্যার আগে অন্য শিশুরা বাড়ি ফিরলেও নিখোঁজ হয় সে। পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজাখুজি করে একমাত্র ছেলের কোন সন্ধান না পেয়ে পাগলপ্রায় বাবা-মা। গ্রামের একটি পুকুরের পাড়ে তার অর্ধগলিত মরদেহ দেখেন গ্রামবাসীরা। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জয়পুরহাট আধুনিক জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। পরিবারের ধারনা, তাকে হত্যার পর লাশ পুকুরে ফেলে রাখা যায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপেন্দ্র নাথ সিংহ জানান, যেহেতু শিশুটির লাশ গলে-পচে গেছে, তাই কিভাবে মারা গেছে বোঝা যাচ্ছে না। ময়নাতন্তের রিপোর্ট আসলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।
Leave a comment