গাজীপুর সংবাদদাতা:
গাজীপুরের শ্রীপুরে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট এসএসসি (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় প্রক্সি দেওয়ার অভিযোগে দুই শিক্ষার্থীকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃত দুই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ মে) দুপুরে শ্রীপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় পরিক্ষা কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। শ্রীপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আটককৃত শিক্ষার্থীরা হলেন শ্রীপুর পৌরসভার লোহাগাছ এলাকার শামসুল আলমের ছেলে জুনায়েদ আহমেদ সাগর (২২) এবং কেওয়া এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে মামুন (২১)।
তাদের মধ্যে জুনায়েদ আদর্শ কারিগরি স্কুল এন্ড কমার্শিয়াল ইনস্টিটিউটের পরিক্ষার্থী রানা মোল্লার পরিবর্তে প্রক্সি দিচ্ছিলেন। মামুন একই প্রতিষ্ঠানের পরিক্ষার্থী হাইয়ুল ইসলাম শাহজাহানের পরিবর্তে প্রক্সি দিচ্ছিলেন।
অভিযুক্ত ভুয়া পরীক্ষার্থী মামুন বলেন, পারিবারিকভাবে অর্থ সংকটে আছি। পরস্পর পরিচয়ের মাধ্যমে নগদ ৫ হাজার টাকা পেয়ে পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে অংশ নেই। পরিক্ষা শেষে আরও কিছু টাকা দেয়ার কথা ছিলো। আজ পর্যন্ত ৮টি পরীক্ষা দিয়েছি।
অভিযুক্ত পরীক্ষার্থী জুনায়েদ আহমেদ সাগর বলেন, টাকার বিনিময়ে চুক্তিতে রানা মোল্লার পরিবর্তে এসএসসি (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় অংশ নিয়েছি। অগ্রীম ৫ হাজার টাকা দিয়েছে। পরিক্ষা শেষ হলে আরও কিছু টাকা পাবো।
শ্রীপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরিক্ষা কেন্দ্রের কেন্দ্র সচিব শাহানা পারভীন বলেন, পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে দুই শিক্ষার্থীকে আমরা শনাক্ত করতে পেরেছি। স্কান করে তাদের ছবি রেজিষ্ট্রেশন এবং প্রবেশ পত্রে বসিয়ে দেয়ায় তাদের দুই জনকে সহজে ভুয়া পরীক্ষার্থী বলে শনাক্ত করতে পারিনি। কক্ষ পরিদর্শকের বিচক্ষণতায় তাদের চিহ্নিত করতে সক্ষম হয়েছি।
শ্রীপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, চলমান এসএসসি (ভোকেশনাল) ট্রেড-২ বিষয়ের পরীক্ষা চলছিলো। পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে গোপন তথ্যের মাধ্য্যমে কেন্দ্র পরিদর্শক অনুসন্ধান করে দুই জন ভুয়া পরিক্ষার্থী চিহ্নিত করে। বিষয়টি জানার সাথে সাথে আমি কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন মন্ডল বলেন, প্রক্সি দেওয়ার অভিযোগে দুই শিক্ষার্থী বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
Leave a comment