পটুয়াখালী সংবাদদাতা:
পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার আমখোলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী গ্রন্থাগার পদে জাল সনদ দাখিল করে ১৩ বছর যাবত কর্মরত থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

অভিযুক্ত মোঃ সাঈদুর রহমান, পিতা আবদুস সালাম। গত ২০১২ সালে দারুল এহসানের সনদ দাখিল করে ঐ বিদ্যালয়ে যোগদান করেন, কিন্তু ২০১৫ সালে যখন তার বিল পাশ করাতে যায় তখন কর্তৃপক্ষ নিষিদ্ধ ঘোষিত দারুল এহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের সনদ বাতিল বলিয়া গণ্য করে। তাৎক্ষণিক তিনি বাংলাদেশ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ঐ পদের বিপরীতে একটি সনদ দাখিল করেন এবং ২০১২ সাল থেকে এখন পর্যন্ত সরকারি সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করে আসছেন।

সাঈদুরের দুটি সনদই ২০১০ সালে পাশ দেখানো হয়েছে। এ বিষয় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সনদের বিষয়ে জানতে চাইলে একটি ফটোকপি প্রেরণ করা হয়, যার রোল নম্বর ৯১০২০১, রেজিস্ট্রেশন নম্বর ১০২৭৯, সেশন ২০০৯-১০।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, এ নামে তাদের অধীনে কোনো পরীক্ষার্থী বা পাশকৃত কোনো ছাত্র নেই যা যথাযথ কর্ততৃপক্ষ তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে।
২০১২ সালে ততকালীন আওয়ামীলীগ সরকারের আমল থেকে এখন পর্যন্ত ভূয়া সনদে সরকারি টাকা আত্মসাৎ সহ সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করে আসছে সাঈদুর রহমান। বিষয়টি বর্তমান প্রধান শিক্ষক মোঃ খলিলুর রহমানের মত পূর্ববর্তী গলাচিপা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস অনৈতিক সুবিধা ভোগ করায় উক্ত বিষয়ে অবগত থাকা সত্তেও সাইদুর এর বিরুদ্ধে এখনও কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
এ বিষয়ে বর্তমান প্রধান শিক্ষক মোঃ খলিলুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি কিন্তু কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। উপরোক্ত বিষয় তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের সুষ্ঠু বিচার দাবী করছেন এলাকাবাসী।
অভিযুক্ত সাঈদুর রহমানের জাল সনদ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠানো কপি ও তার নিয়োগ পত্র প্রতিবেদকের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে।
এ বিষয় জেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ নেয়া হবে।
অভিযোগের বিষয় অভিযুক্ত সাঈদুর রহমান এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
এ দিকে জাল সনদে চাকরির বিষয় জনৈক জায়েদ আহসান জেলা শিক্ষা অফিস, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গলাচিপা ও দুদক পটুয়াখালী বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
Leave a comment