পাবনা সংবাদদাতা:
পাবনার চাটমোহর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ও চাটমোহর পৌর এলাকা থেকে আওয়ামীলীগের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের (তথা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগের) নেতা-কর্মীসহ ৯ জনকে একাধিক বিস্ফোরক ও নাশকতা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
চাটমোহর থানা সুত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (৮ মে ও শুক্রবার ৯ই মে) অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়। শুক্রবার গ্রেপ্তারকৃত ৯জনকে চাটমোহর থানা পুলিশ বিস্ফোরক আইনে গ্রেফতার দেখিয়ে পাবনা জেলা ও দায়রা জজ আদালত প্রেরন করেন।
গ্রেপ্তারকৃত ৯ জন হলেন, চাটমোহর পৌর আওয়ামী লীগ নেতা বালুচর মহল্লার মোঃ আব্দুল ওয়াহাব, চাটমোহর উপজেলার ফৈলজানা ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা মোঃ রবিউল ইসলাম রাসেল ও ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক মোঃ আজিজুল হক, মুলগ্রাম ইউনিয়নের বালুদিয়ার গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ সিরাজুল ইসলাম, হান্ডিয়াল ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামের আওয়ামীলীগের নেতা মোঃ আব্দুস সামাদ, মোঃ ছকির উদ্দিন, আলতাফ হোসেন, মথুরাপুর ইউনিয়নের জবেরপুর গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ মকবুল হোসেন, সাঁড়োড়া গ্রামের স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মোঃ জাকির হোসেন।
গ্রেফতারের বিষয়টি নিয়ে নানা মহলে আলোচনা ও সমালোচনা চলছে। মিথ্যা মামলা দিয়ে ষড়যন্ত্র মুলক উদ্দেশ্য কতিপয় ব্যক্তিরা যোগ সাজসে গ্রেপ্তারের ব্যবসা করছেন। অনেক মামলার বাদী অনেক আসামিকে চেনেন না এমনকি সনাক্তও করতে পারেন না। এ নিয়ে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিভিন্ন মহল থেকে।
এ বিষয়ে বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কলামিস্ট, কবি ও গবেষক, মানবাধিকার সংগঠন গ্রিনপিস বাংলা পাবনা জেলা শাখার সভাপতি প্রভাষক এসএম মনিরুজ্জামান আকাশ উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, যারা বিগত পতিত সরকারের আমলে দুর্নীতির সাথে জড়িত, যারা সরকারের সাথে সংশ্লিষ্ট থেকে সুযোগ সুবিধা নিয়ে টাকা কড়ি কামিয়েছেন তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হলে নিরীহ নিরপরাধ নির্দোষ ক্নিন ইমেজের লোকেদের সমস্যা ও অসুবিধা হবে না। মানবাধিকার আজ ভূলুণ্ঠিত আগের মতই। আইনের শাসন উপেক্ষিত। মানবিক বিপর্যয় আসন্ন গৃহযুদ্ধের দিকে দেশ ধীরে-ধীরে ধাবিত হচ্ছে। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ বাহিনীকে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
তাই সকল শ্রেনী পেশার মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। বেনামী গায়েবী মামলায় হাজার হাজার লোকদের আসামী করায় আরো তীব্র জটিলতা তৈরি হচ্ছে সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে গায়েবি মামলা থেকে নিরীহ নিরপরাধ লোকদের পরিত্রাণ দেওয়া যুক্তিযুক্ত হবে।
Leave a comment