নিউজ ডেস্ক:
গতবছর ৫ আগষ্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের ৯ মাস পর দেশ ছাড়লেন হাসিনা সরকারের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। বুধবার দিবাগত রাত ৩টা ৫ মিনিটে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে তিনি দেশ ছাড়েন।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সূত্রটি রাত ৩টা ৫ মিনিটে থাই এয়ারওয়েজের টিজি ৩৪০ নম্বর ফ্লাইটে ব্যাংককের উদ্দেশ্যে তার দেশ ছাড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সূত্র আরো জানায়, গত রাত ১১টার দিকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যান আবদুল হামিদ। সেখানে যাওয়ার পর ইমিগ্রেশনে প্রয়োজনীয় যাচাই বাছাই শেষে দেশ ছাড়ার সবুজ সংকেত পান তিনি।
তার নামে হত্যা মামলা ছিল। বিষয়টা এসবি জেনেও ক্লিয়ারেন্স দিয়েছে? জানতে চাইলে তিনি বলেন, তিনি কোন হত্যা মামলার আসামি এটা আমরা জানি না। আর হত্যা মামলা থাকলেই যে তাকে ক্লিয়ারেন্স দেওয়া যাবে না বিষয়টি এরকম নয়। এটা আদালতের নির্দেশনা লাগবে। তাকে গ্রেপ্তারে বা দেশত্যাগে আদালতের নিষেধাজ্ঞা ছিলনা বলে সাংবাদিকদের জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, সংবিধানের ৩৪ ও ১০২ ধারা অনুযায়ী আদালতের সুনির্দিষ্ট নিষেধাজ্ঞা না থাকলে বাংলাদেশি কোনো নাগরিককে যাতায়াতে বাধা দেওয়া যাবে না। তার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞার কোনো নির্দেশনা আমরা পাইনি। কোনো মামলায় তাকে আটক বা গ্রেফতারের জন্য পুলিশের পক্ষ থেকেও কোনো আর্জি বা আবেদন ছিল না।
উল্লেখ্য যে, আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে অন্তত একটি হত্যা মামলা থাকার তথ্য রয়েছে। গত ১৪ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জ সদর থানায় তার বিরুদ্ধে এই মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলাটিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, সজীব ওয়াজেদ জয়, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, ওবায়দুল কাদেরের নামও রয়েছে।
১৪ জানুয়ারি আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার আগে কিশোরগঞ্জ জেলায় আওয়ামী লীগ নেতাদের আসামি করে প্রায় অর্ধশত মামলা হয়। তবে সেসব কোনো মামলাতেই আবদুল হামিদকে আসামি করা হয়নি জানা গেছে।
Leave a comment