নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠানের পক্ষে মত দিয়েছেন স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. তোফায়েল আহমেদ।
রবিবার (২০ এপ্রিল) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
এর আগে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে সংস্কার কমিশনের দুই খণ্ডের প্রতিবেদন তুলে দেন কমিশনের সদস্যরা। এতে স্থানীয় সরকারের সব নির্বাচন একসাথে করার সুপারিশ করেছে সংস্কার কমিশন।
ইউনিয়ন থেকে সিটি করপোরেশন পর্যন্ত সব কর্তৃপক্ষের জন্য অভিন্ন আইনের সুপারিশও করা হয়েছে। এছাড়াও প্রতিবেদনে স্থানীয় সরকার বিষয়ে ৬টি নতুন আইন প্রণয়ন এবং কিছু আইন সংশোধনের সুপারিশ করা হয়।
ড. তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘একটা সিঙ্গেল শিডিউল হলে আপনি ৫টা প্রতিষ্ঠানের নির্বাচন করতে পারবেন। সিঙ্গেল শিডিউল হলে। একটা দিনের কথা বলছি না, সিঙ্গেল শিডিউল দিয়ে আপনি দেশটাকে বিভিন্ন জিওগ্রাফিক্যালি ভাগ করে একই সিডিউলে নির্বাচন করে ফেলতে পারবেন।’
জেলা-উপজেলা-ইউনিয়ন পর্যায়ে চিকিৎসা ও শিক্ষা ব্যবস্থার সংস্কারের সুপারিশও করেছে কমিশন। একইসাথে গ্রাম আদালত বিলুপ্ত করে উপজেলা পর্যায়ে পূর্ণাঙ্গ আদালত স্থাপনের সুপারিশ করা হয়।
তিনি বলেন, ‘ইউনিয়ন পরিষদে গ্রাম আদালত নামের একটি আদালত আছে। দেখা যায় যে এটা অ্যাবিউস হচ্ছে। এখানে মিসক্যারেজ অব জাস্টিস হচ্ছে। উপজেলায় বিচার ব্যবস্থার কথা আমরা সুপারিশ করেছি। উপজেলাতে পূর্ণাঙ্গ আদালত স্থাপন করতে হবে। ফৌজদারি এবং দেওয়ানি আদালত উপজেলা পর্যন্ত যেতে হবে।’
সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজনের পক্ষে মত দেন সংস্কার কমিশনের প্রধান। তিনি বলেন, ‘স্থানীয় নির্বাচনও গুরুত্বপূর্ণ, জাতীয় নির্বাচনও গুরুত্বপূর্ণ। আগে একটা, পরে। একটা করলে আরেকটা করতে পারব না, এ জাতীয় শর্তই আমার মনে হয় অমূলক কথা। দুটাই করতে হবে। কোনটা আগে কোনটা পরে, এটার সিদ্ধান্ত সরকার এবং ওনারা (রাজনৈতিক দল) নেক। তবে আমরা চাই স্থানীয় নির্বাচনটা অবিলম্বে করা হোক।’
সম্মেলনে স্থানীয় সরকার বিকেন্দ্রীকরণের লক্ষ্যে জাতীয় নীতিমালা প্রণয়নের সুপারিশও করেছে সংস্কার কমিশন।
Leave a comment