মুন্সীগঞ্জ সংবাদদাতা:
মুন্সীগঞ্জে এমভি ক্যাপ্টেন নামের একটি লঞ্চে শুক্রবার (৯ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে দুই তরুণীকে প্রকাশ্যে পেটানোর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। এ ঘটনায় নেহাল আহমেদ জিহাদ নামে এক যুবককে শনিবার (১০ মে) দুপুর দেড়টার দিকে আটক করেছে পুলিশ।
জানা যায়, আটক নেহাল আহমেদ জিহাদ মুন্সীগঞ্জ শহরের উত্তর ইসলামপুর এলাকার মনির হোসেনের ছেলে।
পুলিশ সূত্র জানায়, ঘটনার খবর পেয়ে গতকাল সন্ধ্যায় মুন্সীগঞ্জ সদর থানা পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় এবং অন্যান্য লঞ্চ যাত্রীদের নিরাপদে চলে যেতে সহায়তা করে। পরবর্তীতে আজ দুপুরে মুন্সীগঞ্জ সদর থানা পুলিশ অভিযুক্ত নেহাল আহমেদ জিহাদকে আটক করে থানা হেফাজতে রেখেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আটক নেহাল আহমেদ জিহাদ সাংবাদিকদের বলেন, আমি মারধরের ঘটনায় অনুতপ্ত এবং আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই আমি নিজেই থানায় এসে আত্মসমর্পণ করি।
তিনি আরও বলেন, স্থানীয় ২০০/৩০০শ লোক তাদের আচরণ ও চলাফেরায় ক্ষিপ্ত হয়ে আক্রমণ করতে চলে আসে। আমি তাদের নিবৃত্ত করতে ভাই হিসেবে শাসন করেছি। মেয়েগুলোকে রক্ষার্থে আমি শাসন করেছি। এটা আমার করা উচিত হয়নি। আবার আমি এটা না করলে মানুষজন নারীদের জামাকাপড় টেনে খুলে ফেলত। আরও বেশি হেনস্তা করত। তাছাড়া স্থানীয়দের কাছ থেকে অন্তত ৯টি মোবাইল আমি তাদের উদ্ধার করে দিয়েছি।
এ বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ওসি সাইফুল আলম বলেন, আটক যুবকের বিরুদ্ধে মুন্সীগঞ্জ থানায় মামলা কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন আছে। এছাড়া পলাতক অভিযুক্তদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে। তবে ভুক্তভোগীরা এখনো কোনো অভিযোগ করেননি। তারা জানিয়েছে আজ অভিযোগ করবে।
Leave a comment