বান্দরবান সংবাদদাতা:
বান্দরবানের আলীকদম উপজেলার মারাইংতং বৌদ্ধ জাদীর একটি মূর্তি ভাংচুর করা হয়েছে। এ ঘটনায় স্থানীয় বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে।
মারাইংতং বৌদ্ধ জাদী পরিচালনা কমিটির সভাপতি উ উইচারা মহাথেরো অভিযোগ করেছেন, লামা উপজেলার সাঙ্গু মৌজার হেডম্যান চংপাত ম্রোর নেতৃত্বে এই ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। তবে, অভিযোগের বিষয়ে সাঙ্গু মৌজার হেডম্যান চংপাত ম্রো তাৎক্ষণিকভাবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি দাবি করেন, তিনি নিজে একজন বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী এবং কেন মূর্তি ভাঙবেন তা বোধগম্য নয়। তিনি এই ঘটনাকে একটি ষড়যন্ত্র বলেও উল্লেখ করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বেশ কিছুদিন ধরে মারাইংতং জাদীর জমি নিয়ে জাদী কর্তৃপক্ষ ও চংপাত ম্রো হেডম্যান গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলছিল।
এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে স্থানীয় যুব নেতা উইলিয়াম মার্মা বলেন, “বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের মনে এতো বড় আঘাত দেওয়ার স্পর্ধা কার? তাকে আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের কাছে বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, মারাইংতং পাহাড়ে নির্মাণাধীন বুদ্ধমূর্তি ভাঙচুরের ঘটনায় আমরা মর্মাহত, ব্যথিত, ক্ষুব্ধ। ধর্মীয় সহনশীলতা, পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও পাহাড়ের ঐতিহ্যবাহী সম্প্রীতি যেন নষ্ট না হয় এই হোক আমাদের সবার আহ্বান।”
আলীকদম থানার এ.এস.আই আবু সাঈদ বলেন, তারা ঘটনাস্থলে যাওয়ার পথে রয়েছেন উঁচু পাহাড়ে অবস্থিত হওয়ায় সেখানে পৌঁছানোর জন্য গাড়ির অপেক্ষা করছেন। গাড়ি না পেলে তারা হেঁটে ঘটনাস্থলে যাবেন বলেও জানান।
ঘটে যাওয়া ঘটনায় এলাকায় তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয় বৌদ্ধ সম্প্রদায় দ্রুত দোষীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সকালে আলীকদম মারাইংতং জেদি পাহাড়ে বুদ্ধ মুর্তি ভাংচুরের ঘটনাস্থল আলীকদম সেনা জোন, উপজেলা প্রশাসন ও আলীকদম থানা পুলিশ, স্হানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ পরিদর্শন করেছেন।
এ বিষয়ে আলীকদম উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আবদুল্লাহ আল মুবিন বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে, মারাইংতং হিল এলাকায় পুলিশ নিরাপত্তা দিচ্ছে এবং সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
Leave a comment