আমতলী সংবাদদাতা:
বরগুনার আমতলীতে কলাগাছ লাগানো কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে ঝগড়া চলাকালীন সময় একজন নিহত হয়। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী নাসিমা বেগম বাদী হয়ে রবিবার ১২ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, আমতলী উপজেলার আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম সোনাখালী গ্রামের মৃত তৈয়ব আলী প্যাদার ছেলে আবুল প্যাদা তার বাড়ীর দরজায় ৫টি কলাগাছ রোপন করেন। একই বাড়ির হাবিল প্যাদা ওই জমি তার দাবী করে দরজায় লাগানো কলাগাছ গুলো কেটে ফেলেন।
এ নিয়ে গত শুক্রবার রাতে উভয় পক্ষ বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। বাকবিতণ্ডার আওয়াজ শুনে একই বাড়ির মৃতঃ মোনসের আলী প্যাদার ছেলে আলমগীর প্যাদা এসে তাদের শান্ত করার চেষ্টা করেন। তাতে ক্ষিপ্ত হয়ে চাচা হোচেন প্যাদা, চাচাত ভাই হাবিল প্যাদা ও ভাতিজা শাহারুল প্যাদার নেতৃত্বে ১০-১২ জন মিলে লাঠি দিয়ে আলমগীর প্যাদার উপর হামলা চালায়।
হামলায় মাথায় আঘাত পেয়ে আলমগীর প্যাদা অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পররা পরেও হাবিল প্যাদা, হোচেন প্যাদা ও শাহারুল প্যাদা আলমগীর প্যাদার বুকে আঘাত করেন।
তাকে রক্ষার জন্য ভাতিজা জুলহাস প্যাদা (২৮) এবং ভাতিজি শাহিনুর বেগম (৩২) এগিয়ে গেলে হাবিল প্যাদার লোকজন তাদেরকেও পিটিয়ে গুরুতর জখম করেন।
তাৎক্ষনিক স্বজনরা গাজীপুর পুলিশ ফাঁড়ির সহযোগিতায় গুরুতর আহত আলমগীর প্যাদা, জুলহাস প্যাদা ও শাহিনুর বেগমকে উদ্ধার করে পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক আলমগীর প্যাদাকে মৃত্যু ঘোষনা করেন এবং জুলহাস ও শাহিনুর বেগমকে ওই হাসপালে ভর্তি করেন।
এ ঘটনায় নিহত আলমগীর প্যাদার স্ত্রী নাসিমা বেগম বাদী হয়ে চাচাত ভাই হাবিল প্যাদাকে প্রধান করে রবিবার (১৩ এপ্রিল)১২ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলায় এজাহার ভূক্ত হোচেন প্যাদাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ জেল হাজতে পাঠিয়েছে।
মামলার বাদী নিহত আলমগীর প্যাদার স্ত্রী নাসিমা বেগম সাংবাদিকদের বলেন, আমার স্বামীকে যারা অন্যায় ভাবে হত্যা করেছে আমি তাদের কঠিন বিচার চাই।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, আলমগীর প্যাদা নিহতের ঘটনায় তার স্ত্রী বাদী হয়ে ১২ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। ১ জনকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। অন্যদেরকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
Leave a comment