আমতলী সংবাদদাতা:
বরগুনার আমতলীতে হাঁস খামারীর নিকট চাঁদা টাকা না পেয়ে দেশীয় অস্ত্রের (রামদা) কোপে ৬জন গুরুতর জখম হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শনিবার দুপুরে আমতলীর চাওড়া ইউনিয়নের পাতাকাটা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা বরিশাল শেবাচিম ও পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
জানা গেছে, আমতলীর চাওড়া ইউনিয়নের পাতাকাটা গ্রামের মো. জাকির হোসেন মাতুব্বরের ছেলে মো. সোহেল মাতুব্বর ৬মাস ধরে নিজ বাড়িতে প্রায় ৮শ হাঁসের একটি খামার করে।
প্রতিদিন সকাল ও বিকাল হাঁসগুলো খামার থেকে বাড়ির সামনে পাতাকাটা খালে ছেড়ে দেন। খালে হাঁস ছেড়ে লালন পালন করতে হলে পার্শ্ববর্তী ঘটখালী গ্রামের মৃত তোতা মিয়া হাওলাদারের ছেলে মো. জহিরুল ইসলাম ১০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করেন বলে খামারী সোহেল হাওলাদার অভিযোগ করেন।
এ নিয়ে শনিবার বিকেল ৩টায় উভয় গ্রুপের মধ্যে হামলা পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় দেশীয় অস্ত্রের (রামদা) কোপে খামারী সোহেল মাতুব্বর (৩৫), তার বাবা মো. জাকির হোসেন মাতুব্বর (৬০) ও সুমন মাতুব্বর (২২), জহিরুল ইসলাম (৪০), রাজিব হাওলাদার (২২) ও জুয়েল মাতুব্বর (৩৫ ) নামে ৬ জন গুরুতর জখম হন।
গুরুতর আহত সোহেল, তার বাবা জাকির ও ভাতিজা সুমন মাতুব্বরকে বরিশাল শেবাচিম এবং জাহিরুল ও রাজিবকে পটুয়াখালী জেনালে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অভিযুক্ত জহিরুল হাওলাদার চাঁদা দাবীর অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, খালে হাঁস ছেড়ে পানি নষ্ট করার প্রতিবাদ করায় সোহেলের নেতৃত্বে আমাদের উপর হামলা করা হয়েছে।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আরিফুল ইসলাম বলেন বলেন, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a comment