বরিশাল সংবাদদাতা :
বরিশালের শীর্ষ সন্ত্রাসী, মাদক ও চোরা কারবারি, ভূমিদস্যু কবির হাওলাদার ওরফে (ডাকাত কবির) বন্দর থানা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছে। কবির গ্রেফতার হওয়ায় এলাকার মানুষের মনে স্বস্তি ফিরে এসেছে। কবির বরিশালের চাঁদপুরা দুই নং ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ সেক্রেটারি ছিলেন।
নিজ আত্মীয়দের ঘরবাড়ী লুট ও অন্যের জমি দখল কারা তার নেশা ও পেশা ছিলো। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তার এক আত্মীয় বলেন,, কবির ছিলেন এই অঞ্চলের গডফাদার মূর্তিমান আতঙ্ক। তার হুকুম ছাড়া এই অঞ্চলের একজন মানুষও চলাফেরা করতে পারত না। এমনকি গাছের একটি পাতাও নড়তো না। তিনি এতটাই দুর্ধর্ষ ছিলেন তার ভয়ে এলাকার লোকজন কথা বলতেও সাহস পাইতো না। তার বিরুদ্ধে কেউ কথা বললেই সেই পরিবারে নেমে আসতো ঘোর অমাবস্যা।
কবির হাওলাদার দিনে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতো আর রাতে তার সঙ্গবদ্ধ ডাকাত চক্র নিয়েই চলতে পছন্দ করতেন। কিছুদিন আগেও কবির তার সৎভাই মৃত শাহ্ আলম হাওলাদারের বউয়ের গলাথেকে তার সঙ্গবদ্ধ ডাকাতদের নিয়ে চেইন ছিনিয়ে নেয়। তার ভিডিও আছে। ছিনিয়ে নেয়া স্বর্ণের চেন এর বর্তমান বাজার মূল্য ৭৫ হাজার টাকা। তার কয়েকদিন পরে সৎ ভাইয়ের ছেলের উপর হামলা ও তাকে মারধর করে ছিনিয়ে নেয় তার কাছ থাকা তার কর্মে লাগা দুই লক্ষ টাকা। তারা কিছুই বলতে পারেনি এতদিন আওয়ামী ক্ষমতায় থাকার কারণে ও তিনি ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সেক্রেটারী তাই তার ভয়ে মুখ খুলতে পারেনি।
কবির তার সৎভাই শাহ আলমের পরিবারকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে তার সম্পত্তি জোর পূর্বক স্ট্যাম্পে সই করিয়ে সবটুকু তার করে নেয়।এব্যাপারে কাউকে জানালে তার ছেলেদেরকে প্রাণে মারার হুমকিও দিয়ে থাকেন।
ডাকাত কবির হাওলাদারের নামে বিভিন্ন সময় তিনটি মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। গতকাল তাকে গ্রেফতার করা হলেও তার ডাকাতির সহযোগীদের এখনও গ্রেপ্তার করা হয়নি। তাই কবির হাওলাদার গ্রেপ্তার হলে এলাকাবাসী উপরে উপরে খুশি হলেও এলাকাবাসীর ভেতর চাপা আতঙ্ক বিরাজ করছে। এলাকাবাসীর দাবি কবির হাওলাদারের মতো তার সহযোগীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে।
কবির হাওলাদার এর সহযোগী ছিলেন কবিরের ভাই খোকন হাওলাদার, তাদের মেয়ে জামাই রাসেল, কানাই আসাদুজ্জামান, সিরাজুল ইসলাম। এ বিষয়ে এই ভুক্তভোগী শাহ আলমের পরিবার এবং এলাকাবাসী একটাই দাবি সকল অপরাধীকে যেন আইনের আওতায় আনা হয়।
Leave a comment