জয়পুরহাট সংবাদদাতা :
জয়পুরহাটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা কমিটির বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অনিয়ম এবং ভুয়া তালিকা তৈরির অভিযোগ তুলে সংগঠনের চারজন নেতাকর্মী পদত্যাগ করেছেন।
পদত্যাগকারী নেতারা হলেন জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এর জেলা কমিটির যুগ্ম সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার সৈয়দ নাফি উল্লাহ দেওয়ান, যুগ্ম আহবায়ক রাজু আহমেদ, যুগ্ম আহবায়ক ইসরাদ জাহান ইরাদ এবং সদস্য মামুনুর রশীদ।
তারা অভিযোগ করেন, সংগঠনের ভিতরে নানা অনিয়ম, স্বজনপ্রীতি ও অর্থ আত্মসাতের ঘটনা ঘটলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে নৈতিক অবস্থান থেকে তারা সংগঠন ত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
ইঞ্জিনিয়ার সৈয়দ নাফি উল্লাহ দেওয়ান ১৯ মার্চ তারিখে দেয়া পদত্যাগপত্রে লিখেছেন, সংগঠনের অভ্যন্তরে বিদ্যমান দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের ঘটনাগুলোর প্রতিবাদস্বরূপ এবং ব্যক্তিগত ও পারিবারিক কারণে আমি এই পদ থেকে সরে দাঁড়াচ্ছি।
রাজু আহমেদ ১৫ মে তারিখে পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে বলেন, বিভিন্ন সংস্কার ও সামাজিক কাজ করতে গিয়ে আমার দোষগুণ হয়তো আপনাদের চোখে পড়েছে। মানুষ মাত্রই ভুল করে, আমিও হয়তো করেছি।
ইসরাদ জাহান ইরাদ তার পদত্যাগপত্রে উল্লেখ করেন, নৈতিক অবস্থান থেকে এবং সংগঠনের দুর্নীতির প্রতিবাদে আমি পদত্যাগ করেছি।
অন্যদিকে, মামুনুর রশীদ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত এক বার্তায় বলেন, আমার সোনার বাংলায় চোরের কোনো অভাব নেই। আমি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জয়পুরহাট জেলা কমিটি এবং তাদের সকল কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি নিচ্ছি। মিছিল-মিটিং থেকেও নিজেকে সরিয়ে নিচ্ছি। ‘জুলাই আহতদের’ ভুয়া তালিকার সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। আমি সবসময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে ছিলাম, আছি এবং থাকব ইনশাআল্লাহ।
এ বিষয়ে জেলা কমিটির আহ্বায়ক এ এইচ হাসিবুল হক সানজিদ জানান, জুলাই যোদ্ধা ও অন্যান্য বিতর্কিত বিষয় নিয়ে আমি শিগগিরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বক্তব্য দিব।
উল্লেখ্য, গত ১৬ মে, ২৫ তারিখে ৭৯জন আহত জুলাই যোদ্ধাদের সরকারিভাবে ১লাখ টাকা করে অনুদান দেওয়ার পর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় ওঠে। ভুয়া তালিকা করে টাকা তোলা হয়েছে এমন অভিযোগ আসার পর থেকেই ছাত্র সমন্বয়কদের মধ্যে সমালোচনা ও পদত্যাগের হিড়িক পড়ে।
Leave a comment