পিরোজপুর সংবাদদাতা :
জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে পিরোজপুরের নাজিরপুরে ছয়জনকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দিনগত রাত ১২টার দিকে উপজেলার ৩ নং দেউলবাড়ী দোবড়া ইউনিয়নের তাজাম্বুল হোসেন দফাদারের বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- আলাউদ্দিনের ছোট ছেলে জসিম (২৮, মৃত সোবহানের ছেলে শাহাবুদ্দীন (৫০), রফিকুল ইসলামের ছেলে ইয়াছিন (২২), মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে আজাদ শেখ (৪৫), শাহাবুদ্দিনের ছেলে কাওসার (২২), মো. আজাদ মিয়ার ছেলে রাজু শেখ (২৩)। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতদের স্বজনরা জানিয়েছেন, স্থানীয় নজরুল ইসলামের দুই ছেলে ইমদাদুল্লাহ (৩৩), নুরুল্লাহ (৩০) সঙ্গে সীমানা সংক্রান্ত জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। ওই বিরোধ মিমাংসায় একাধিকবার সালিশ-বৈঠক হলেও কোনো সুরাহা হয়নি। পরবর্তীতে বৃহস্পতিবার দিনের বেলায় উভয়পক্ষের মধ্যে বিরোধ দেখা দিলে স্থানীয়রা সমাধান করে দেবেন বলে জানালে বিরোধ থেমে যায়।
এরপর বিষয়টি স্থানীয় তাজাম্বুল হোসেন দফাদারের মাধ্যমে সমাধানের জন্য আহতরা তার কাছে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে বের হয়ে দফাদারের বাড়ির সামনে পৌঁছালে এমদাদুল্লাহ ও তার ভাই নুরুল্লাহ ধারালো দা দিয়ে প্রতিবেশী আলাউদ্দিনের ছোট ছেলে জসিম (২৮), মৃত সোবহানের ছেলে শাহাবুদ্দীন (৫০), রফিকুল ইসলামের ছেলে ইয়াছিন (২২), মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে আজাদ শেখ (৪৫), শাহাবুদ্দীনের ছেলে কাওসার (২২), মো. আজাদ মিয়ার ছেলে রাজু শেখকে (২৩) কুপিয়ে গুরুতর জখম করেন। এ সময় তাদের চিৎকারে স্বজন ও স্থানীয়রা ছুটে এলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যান।
স্বজনরা আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক গুরুতর জখম পাঁচজনকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার্ড করেন ও একজনকে নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।পরবর্তীতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করে আবার নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক অশেষ প্রতীম রায় বলেন, বৃহস্পতিবার দিনগত রাত তিনটার দিকে চিকিৎসার জন্য ছয়জনকে আনা হয়েছিল। এদের মধ্যে একজন আমাদের এখানে ভর্তি করে, বাকি পাঁচজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনায় রেফার্ড করা হয়েছিলো,পরবর্তীতে তারা খুলানা থেকে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা নিয়ে এখানে চিকিৎসাধীন আছে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত এমদাদুল্লাহ হামলার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ‘তারা (আহতরা) আমাদের ওপর হামলা করেছেন। আমরা মাত্র দুইজন! আমার এক ভাইকে রাতের আঁধারে তারা প্রথমে হামলা করেছে। তার চিৎকার শুনে আমি এগিয়ে গেলে আমার ওপরও হামলা করে’।
নাজিরপুর থানার ভারপাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহামুদ আল ফরিদ ভূঁইয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
Leave a comment