বরগুনা সংবাদদাতা :
বরগুনায় ডেঙ্গু এখন মহামারি আকার ধারন করছে। দেশের ডেঙ্গুর রেডজোন হিসেবে বরগুনা জেলাকে ঘোষণা দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। হাসপাতালে তিল পরিমান ঠাঁই নেই। ডেঙ্গু আক্রান্ত অনেকে বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছে। এখন ডেঙ্গু আতঙ্কিত বরগুনার প্রতিটি জনপদ। দিন যতোই বাড়ছে, ডেঙ্গুর প্রকোপ ততোই বাড়ছে। একদিকে আক্রান্তের হার অন্যদিকে মৃত্যুর মিছিল। চিকিৎসকরা ডেঙ্গু রোগী সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে।
বরগুনায় ডেঙ্গুতে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন করে আরও ৭৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় মৃত্যুর সংখ্যা ২৬ জন এবং মোট আক্রান্তের সংখ্যা দুই হাজার ৯৩২ জন।

জানাগেছে, নতুন আক্রান্তদের মধ্যে বরগুনা সদর উপজেলায় ৬৫ জন, বেতাগী উপজেলায় একজন, পাথরঘাটা উপজেলায় পাঁচজন এবং তালতলী ও আমতলী উপজেলায় তিনজন করে আক্রান্ত হয়েছেন।
এদিকে আজ সোমবার সকালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে বেতাগী উপজেলার বদনিখালী এলাকার নেছার উদ্দিন(৭০) নামের অবসর প্রাপ্ত একজন শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে। ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
এছাড়া জেলায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২২২ জন। এদের মধ্যে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১৭০ জন, আমতলীতে ১২ জন, বেতাগীতে একজন, বামনায় ১৭ জন, পাথরঘাটায় ১০ জন এবং তালতলী উপজেলায় ১২ জন।
বরগুনা জেলায় মোট ডেঙ্গু আক্রান্তের মধ্যে সদর উপজেলায় আক্রান্ত হয়েছেন দুই হাজার ৬৫৭ জন, তালতলী উপজেলায় ৩১, বামনা উপজেলায় ৬৮, বেতাগী উপজেলায় ২৮, আমতলী উপজেলায় ৩০ এবং পাথরঘাটা উপজেলায় ১১৮ জন।
জেলায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ২৬ জনের মধ্যে ২৩ জনের বাড়ি বরগুনা সদর উপজেলায় এবং একজনের বাড়ি পাথরঘাটা উপজেলায় এবং দুইজনের বাড়ি বেতাগী উপজেলায়।
বরগুনার সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ আবুল ফাত্তাহ বলেন, ‘দিন যত বাড়ছে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ততোই বাড়ছে। কিছুতেই ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে আসছেনা। এমনিতেই এখন আমাদের চিকিৎসা সেবা দিতে বেগ পেতে হচ্ছে।
Leave a comment