নিউজ ডেস্ক :
ভৈরব সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) নাজমুস সাকিবের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে মঙ্গলবার (২০ মে) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮-এর বিচারক মো. শওকত আলীর আদালতে এক নারী ব্যাংক কর্মকর্তা মামলা করেন।
ট্রাইব্যুনাল শাহবাগ থানা পুলিশকে অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করতে নির্দেশ দেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী নাসিদুস জামান নিশান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২০২৩ সালের ১৯ জুন ফেসবুক গ্রুপ ‘পাত্র-পাত্রী দুজনেই হবে ঢাবিয়ান’ নামের গ্রুপে পাত্রী চেয়ে পোস্ট করেন আসামি নাজমুস সাকিব। সেই পোস্টের সূত্র ধরে ২০২৩ সালের জুন মাসে বাদীর সঙ্গে আসামির পরিচয় হয়।
একপর্যায়ে তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তবে আসামি তাঁর পূর্ববর্তী বিয়ে ও সন্তান থাকার বিষয়টি গোপন রেখে তাঁকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেন।
পরবর্তী সময়ে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন। তাঁদের এ সম্পর্ক দুই পরিবারের কাছেও সুপরিচিত ছিল এবং উভয়ের বাসায় অবাধ যাতায়াত ছিল।
মামলায় আরও বলা হয়, সর্বশেষ গত ৪ এপ্রিল রাতে বাদী আসামির বাসায় অবস্থান করেন। একপর্যায়ে বাদী জানতে পারেন, আসামি ইতিমধ্যে অন্য এক নারীকে বিয়ে করেছেন। এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের সময় আসামি তাঁকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানান এবং মামলা করলে নানা রকম ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দেন।
উল্লেখ্য, নাজমুস সাকিবের প্রথম স্ত্রী ইসরাত রহমান ও দ্বিতীয় স্ত্রী মুক্তা এর আগেও তাঁর বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন ও যৌতুক আইনে মামলা করেছিলেন। সে মামলায় কয়েক মাস জেলও খেটেছেন নাজমুস সাকিব।
আওয়ামী লীগ সরকার আমলে তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিয়ে তাঁকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল। কিন্তু গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর তিনি আওয়ামী লীগ শাসন আমলে বঞ্চিতের শিকার দাবি করে আবার চাকরিতে যোগদান করেন।
Leave a comment