বরগুনা সংবাদদাতা:
বরগুনার আমতলীতে বিরোধীয় জমিতে পাকা ভবন নির্মাণকে কেন্দ্রে করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে নারীসহ ১০ জন আহত হয়েছে। গুরুতর আহতদের বরিশাল শেবাচিম, পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ ও আমতলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনা ঘটেছে আমতলী উপজেলার আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের ধর্মনারায়ণ গ্রামে শুক্রবার সন্ধ্যায়।

জানাগেছে, সৌদি প্রবাসী নজরুল গাজী ও মাদ্রাসা শিক্ষক আলতাফ গাজী চাচাতো ভাই। এদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। ওই বিরোধীয় জমিতে নজরুল গাজীর স্ত্রী নাসিমা বেগম ও ভাতিজা রাসেল গাজী পাকা ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করেন। ওই পাকা ভবন নির্মাণে বাঁধা দেয় আলতাফ গাজীর ও তার লোকজন। এনিয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া এবং সংর্ঘষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। গুরুতর আহত এসএসসি পরীক্ষার্থী ওবায়দুল ইসলাম (১৭), তারেক হাসান (১৮), ফয়সালকে (১৫) পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং রাসেল গাজী (২৮), নাসিমা বেগম (৩০), শরভানু (৬৫), সোহরাফ আলীকে (৫৫) বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে এবং পুতুল (৪০), সাইদুল ইসলাম (২৪) ও মাইনুলকে (১৬) প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।
আহত নাসিমা বেগম বলেন, আমার স্বামী প্রবাসে থাকে। আমি আমার জমিতে পাকা ভবন নির্মাণ করতেছিলাম। আলতাফ গাজী ভাড়াটে সন্ত্রাসী এনে আমার নির্মাণাধীণ ভবন ভেঙ্গে ফেলেছে। এতে বাঁধা দিলে আমাকেসহ ছয়জনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করেছে।

আলতাফ গাজী বলেন, আমার জমিতে জোরপুর্বক নজরুল গাজীর স্ত্রী নাসিমা বেগম ও ভাতিজা রাসেল গাজী পাকা ভবন নির্মাণ করতেছিল। আমি ও আমার লোকজন এতে বাঁধা দেয়ায় আমার পক্ষের চারজনকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে। আমি এ ঘটনার বিচার দাবী করছি।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ রাশেদ মাহমুদ রোকনুজ্জামান বলেন, আহতদের যথাযথ চিকিৎসা দিয়ে চারজনকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোঃ আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন. খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a comment