Saturday , 3 May 2025
Home ঢাকা বিভাগ, সারাদেশ আদাবরে একই ভবনে দুটি সংযোগ; ডিপিডিসি কর্মকর্তার অনিয়মের অভিযোগ
সারাদেশ

আদাবরে একই ভবনে দুটি সংযোগ; ডিপিডিসি কর্মকর্তার অনিয়মের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজধানীর আদাবরে নিয়ম বহির্ভূত একটি ভবনে দুটি বৈদ্যুতিক সংযোগ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মোটা অংকের আর্থিক লেনদেনের অভিযোগও রয়েছে। ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ডিপিডিসি) আদাবর এনওসিএসের নির্বাহী প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) আয়াতুল্লাহ ইমরান আলী অভিযুক্ত মিটার রিডারকে রক্ষা করতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছেন।

গ্রাহকের অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, আদাবর এনওসিএস এর ঢাকা উদ্যান ফিডারের অধীন নবীনগর হাউজিংয়ের ৬ নম্বর রোডের ১ নম্বর হোল্ডিংয়ে একটি উচ্চচাপ (এইচটি) সংযোগ রয়েছে। অথচ বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) নিয়ম অনুযায়ী একই স্থাপনায় একাধিক বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া নিষিদ্ধ। কিন্তু মিটার রিডার ইলিয়াস ও তার সহকর্মী হাছান মাহমুদ ভবনটির নিচতলায় থাকা একটি দোকানে ভিন্ন হোল্ডিং নম্বর দেখিয়ে এলটিসিটি মিটার সংযোগ প্রদান করেন।

জানা গেছে, অবৈধভাবে দেয়া সংযোগটি ৫৩৩/১ মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ ঠিকানার মো. সামসুদ্দিনের নামে অনুমোদিত। যার মিটার নম্বর ১৫৯৩২০৮৯ এবং কাস্টমার নম্বর ৩১৬৫৪৩৬৫।

স্থানীয় কয়েকজন দোকান মালিক অভিযোগ করেন, নির্বাহী প্রকৌশলী আয়াতুল্লাহ ইমরান আলীর প্রশ্রয়ে আদাবর, নবীনগর হাউজিং, ঢাকা উদ্যান হাউজিং ও চন্দ্রিমা মডেল টাউনে বহু অবৈধ সংযোগ দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১ মে) দুপুর ৩টার দিকে ইমরান আলী তার লোকজন দিয়ে অভিযুক্ত সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে এবং মিটার খুলে নিয়ে আসে। অথচ নিয়ম অনুযায়ী, এমন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে হলে ডিপিডিসির কেন্দ্রীয় টাস্কফোর্সের উপস্থিতি এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জানানো বাধ্যতামূলক। কিন্তু তিনি কোনো কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে এককভাবে ব্যবস্থা নেন এবং অভিযুক্ত মিটার রিডারদের বিরুদ্ধেও কোনো প্রশাসনিক পদক্ষেপ নেননি।

বিষয়টি নিয়ে কথা বললে নির্বাহী প্রকৌশলী আয়াতুল্লাহ ইমরান আলী জানান, তিনি একজন গ্রাহকের অভিযোগের ভিত্তিতে সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করেছেন। তবে ঘটনাটি তার আগে জানা ছিল না বলেও দাবি করেন তিনি। এখনও পর্যন্ত কারো বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে জানান তিনি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।

এদিকে ডিপিডিসি’র শ্যামলী সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. তরিকুল ইসলাম। সাংবাদিকদের জানান, “একই স্থানে দুটি মিটার স্থাপনের কোনো সুযোগ নেই। কেউ তা করে থাকলে তা স্পষ্ট অনিয়ম। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

অন্যদিকে অভিযুক্ত মিটার রিডার ইলিয়াস বলেন, তিনি উত্তম নামে এক মিটার রিডারের কাছ থেকে আবেদনের ফাইলটি পেয়েছিলেন এবং ধারণা করছেন, ওই মিটার রিডার আর্থিক লেনদেনে জড়িত থাকতে পারেন। তবে পরবর্তীতে ফাইলটির বিষয়ে তিনি আর কিছু জানেন না বলেও দাবি করেন তিনি।

নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, মিটার রিডার হাছান মাহমুদ ও ইলিয়াসের যৌথ উদ্যোগেই এই অবৈধ সংযোগটি প্রদান করা হয় এবং বিষয়টি নির্বাহী প্রকৌশলী আয়াতুল্লাহ ইমরান আলীর জানা ছিল। অভিযোগ রয়েছে, এ সংযোগ প্রদানে মোটা অংকের ঘুষ লেনদেন করা হয়।

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

সারাদেশ

সাভারে যুবককে কুপিয়ে জখম

সাভার সংবাদদাতা: ঢাকার সাভারে পূর্ব বিরোধের জেরে মো. কামাল হোসেন (৩৫) নামে...