আদিতমারী প্রতিনিধি:
তিস্তা সড়ক সেতুর টোল প্লাজায় পুলিশের টহল দলের সামনে হেলমেটধারী সশস্ত্র ডাকাতের হামলায় ১৪ লাখ টাকা লুটের দাবি করেছেন ইজারাদার। এ সময় আহত হয়েছেন তিনজন।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) রাতে তিস্তা সড়ক সেতুর লালমনিরহাট অংশে অবস্থিত টোল প্লাজায় এই ঘটনা ঘটে।
তিস্তা সড়ক সেতুর টোল প্লাজার ঠিকাদার রানা কনাষ্ট্রাকশনের পার্টনার নাজমুল আলম নাজু বলেন, ‘বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ২০ থেকে ২৫টি মটরসাইকেলযোগে হেলমেট গাড়ি সশস্ত্র ডাকাতদল অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। এ সময় পুরো টোল প্লাজা ভাঙচুর করে তারা। টোল প্লাজার ক্যাশ বাক্সে থাকা দু’দিনের টাকা লুট করে নিয়ে যায়।
ডাকাতদের হামলায় আমার কর্মচারী
সুরুজ মিয়া (৪০), মুসলিম মিয়া (৩৭) ও জুয়েল ইসলাম (২৮) গুরুতর আহত হয়। তাদেরকে কাউনিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘ঘটনার সময় পুলিশের এসআই রওশন আলীর নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম টোল প্লাজার মাত্র ২০ ফুট দূরে টহলরত অবস্থায় ছিলেন। কিন্তু তারা হামলা ঠেকানোর কোনো উদ্যোগ নেয়নি। এ সময় কর্মচারীরা পুলিশের সহযোগিতা চাইলেও তারা সাড়া দেননি। পুলিশের ওই এসআই টোল প্লাজায় লেগে থাকা রক্তের দাগ পানি দিয়ে ধুয়ে দিয়েছেন। ঘটনাটি রহস্যজনক। তিনি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ওই পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি তাদেরকে গ্রেফতারের দাবি জানান।’
টোলপ্লাজার ম্যানেজার দাউদ আলী সরদার জানান, ‘ঘটনার সময় পুলিশের নীরব ভূমিকার কারণে ডাকাতরা নির্বিঘ্নে ডাকাতি করে চলে যেতে পেরেছে। পুলিশ কেন নীরব ভূমিকা পালন করল সেটির কারণ আমরা জানি না, তবে মনে হয়েছে ডাকাত দলের সাথে পুলিশের সখ্যতা রয়েছে।’
টোলপ্লাজার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের আরেক পার্টনার মশিউর রহমানকে পাওয়া যায়নি।
এ ঘটনায় টোলপ্লাজার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষে লালমনিরহাট সদর থানায় একটি ডাকাতি মামলার এজাহার দায়ের করেছেন নাজমুল আলম নাজু।
এ ব্যাপারে টহলদলের এসআই রওশন আলী বলেন, ‘তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে আসতে আসতেই হামলাকারীরা দ্রুততম সময়ে লুটপাট করে চলে যায়।‘
লালমনিরহাট সদর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: নুরুন্নবী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি পুলিশ ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে আছি। বিষয়টি তদন্ত করছি। কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে মামলা করবেন বলে আমাদেরকে জানিয়েছেন। পুলিশের নীরব ভূমিকার ব্যাপারে তিনি বলেন বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
Leave a comment